অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। দলের হয়ে জিতেছেন মার্ক কেলি। এতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল সিনেটের ৪৯টি আসন নিলো। অপরদিকে রিপাবলিকানদের হাতে এসেছে ৪৯টি আসন। যে দল ৫১টি আসন পাবে, তারাই নেবে সিনেটের দখল।
অ্যারিজোনায় প্রত্যাশিত জয়ে সিনেটের ক্ষমতা দখলের আরও কাছাকাছি ডেমোক্র্যাটিকরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফল আসবে আর দুটি আসনের মাধ্যমে। রিপাবলিকানরাও সিনেট জয়ে আশাবাদী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিনেটের নিয়ন্ত্রণে বাইডেনদের দখলেই যাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত আসনের সিনেটের ৯৮টিতে ফল এসেছে। আধা আধা করে আসন পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিক। দুটি ভোট কার দিকে গড়াবে, সে উত্তর সময়ের। দুই দলই সিনেটের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের কাছাকাছি।
রিপাবলিকানরা শেষ দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে আনবে বলে মনে করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও মনে করছেন সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নেবে তার দল। কবে আসবে ফলাফল- খুব দ্রুতই যে সিনেটের ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা নয়। কেননা, জর্জিয়ায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেতে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই আগামী ৬ ডিসেম্বরে অঙ্গরাজ্যটিতে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে।
বাকি থাকে নেভেদার ফলাফল। এ দুটি রাজ্যের ভোট যুক্ত হলেই সিনেটের পূর্ণ আসনের ফল পাওয়া যাবে। গত মঙ্গলবার অ্যারিজোনা মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্লেক মাস্টর্সকে পরাজিত করেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী মার্ক কেলি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেসব রাজ্যে ডেমোক্র্যাটিক শক্তি বেশি, সবগুলোতেই বাইডেন প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন। নেভেদা ও জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা বেশ সক্রিয়। জো বাইডেনও তাকিয়ে আছেন জর্জিয়ার দিকে।
সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেলেও মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ে শঙ্কা আছে ডেমোক্র্যাটদের। কেননা, রিপাবলিকানরা এ পরিষদে এখন পর্যন্ত ২১১টি আসনে জয় পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১৮টি আসন। ডেমোক্র্যাটিকরা জয় পেয়েছে ২০৩টি আসনে। ফলে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রিপাবলিকানদের হাতে যাচ্ছে, তা প্রতীয়মান।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রিপাবলিকানদের হাতে গেলে সদস্যরা বাইডেনের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে যেকোনো সময় বাধা দিতে পারবে। যা ক্ষমতাসীন দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বর্তমান ফলাফল যেদিকে যাচ্ছে, বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- এ ব্যাপারে বাইডেন এখন অনেকটাই নিরুপায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানরা নিয়ে ফেললে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা আটকে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা একেবারেই আটকে দেবে না রিপাবলিকানরা। সহযোগিতা চালু থাকবে। তবে ধীর গতিতে এগিয়ে যাবে।