সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত জুন মাসে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার পেটে টিউমার অপারেশন হয়। রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেসালাইজড হাসপাতালে ওই অপারেশনের মাধ্যমে চার কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করা হয়। এরপর তিনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। নানা জটিলতা দেখা দেয়। ফলে এক প্রকার গৃহবন্দি জীবনযাপন করছেন। নিউরোসায়েন্স, ল্যাবএইডসহ বিভিন্ন হাসপতালালে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড চিফ কনসালটেন্ট সার্জন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে। এরপর তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পারিবার সূত্রে জানা নায়, ডেপুটি স্পিকারের অসুস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরামর্শ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেখানে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ডেপুটি স্পিকারকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেনাপোল নেওয়া হবে। সেখান থেকে সীমান্ত পার হয়ে কলকাতার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (দমদম) বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজযোগে মুম্বাই যাওয়ার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে দুই মেয়ে ও এক মেয়ে জামাই যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সুস্থতার বিষয়ে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে কয়েকদিন আগে কথা হয়। তখন তিনি বিস্তারিত না জানালেও সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। অসুস্থতার বিষয়ে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে কয়েকদিন আগে কথা হয়। তখন তিনি বিস্তারিত না জানালেও সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।