আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (২৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে তারেক রহমান লেখেন, আমি প্রায়ই একটি বিষয় বলি যে, ব্যক্তিগত মানসিকতার সংস্কার লেখা বা প্রতিষ্ঠানের কাগজে-কলমে সংস্কারের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর কোরিয়ার সংবিধান দেশটিকে ‘গণতান্ত্রিক জনগণতন্ত্র কোরিয়া’ হিসেবে অভিহিত করে। গণতন্ত্র শব্দে নয়, তা মানা ও বাস্তবায়নে নিহিত।
তিনি লিখেছেন, যেকোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের নষ্ট করা যাবে না। এমন কিছু করা উচিত নয় যা জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করে বা নাগরিকদের বিচ্ছিন্ন করে তোলে। আমরা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন গণতন্ত্রপ্রেমী নাগরিক বা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে না দেখে। যদি সরকারে থাকা কেউ ভবিষ্যতেও শাসনে থাকতে চায়, তবে তাদের পদত্যাগ করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নতুনভাবে ম্যান্ডেট নিতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় তিন কোটিরও বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেই জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের জন্য, গণতন্ত্র এখনো একটি অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।
তারেক রহমান লেখেন, আমাদের অতীতের অপসারিত, লাঞ্ছিত এবং পলাতক স্বৈরশাসকদের কাছে হয় অধিকার, নয় নির্বাচন, তেমন কোনো অর্থবহন করত না। সেই কারণেই সংস্কার, যদিও প্রয়োজনীয় তবে এটি যথেষ্ট নয়। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য দৃশ্যমান, সুসংগঠিত প্রস্তুতি দেখাতে হবে।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে ইতিহাস বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ও সম্পন্ন করতে পারে। দৃষ্টান্ত রয়েছে, এটি সম্ভব। তবুও, তাদের দায়িত্ব নেওয়ার দশ মাস পার হয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো কোনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। এর চেয়েও ভালো কিছু বাংলাদেশের জনগণ প্রাপ্য। আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে কর্তৃত্ববাদ থাকবে না, যেটির সরকার হবে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিপূর্ণ।
তাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।