দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এখনো চলমান। এরই মধ্যে হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষার নানা কাগজপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) রাস্তায়।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিপিই’র রাস্তায় পড়ে রয়েছে। অধিদপ্তরের বাইরে ট্রাংকের পাশে প্রশ্নপত্রের সিলগালা খাম, পরীক্ষার নির্দেশিকা, ওএমআর সিটসহ অন্যান্য কাগজপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাইরে থেকে আবার কেউ কেউ এসে এসব কাগজ নিয়ে যাচ্ছে।
ডিপিই’র গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য সানোয়ার জানান, গত শুক্রবার পরীক্ষা শেষে সারাদেশ থেকে আসা এসব কাগজপত্র ট্রাংকে ও কিছু রাস্তায় ফেলা রাখা হয়। কেউ কেউ তা নিয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে রাস্তা থেকে তুলে কিছু কাগজ তিনি ও শামীম নামে দুজন আনসার সদস্য বিক্রি করে দিয়েছেন। সেসব কাগজের মধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্রও ছিল। ২০ টাকা কেজিতে তারা বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে জানতে ডিপিই’র মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের দপ্তরে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
তবে এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (প্রশাসন) মো. হামিদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেহেতু পরীক্ষা চলমান, তাই এগুলো জনসাধারণের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। সেগুলো রাস্তায় ফেলে রাখা অন্যায়। এটি নিয়োগ শাখার দায়িত্ব।
এসময় তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু এ বিষয়ে নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নিজ নিজ জেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ পরীক্ষায় অংশ নেন আবেদনকারীরা। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল চার লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন।
এবার মোট তিন ধাপে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। তৃতীয় তথা শেষ ধাপের পরীক্ষা হবে ৩ জুন।