সম্প্রতি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের গণমাধ্যমের সঙ্গে একটি ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড জানান, হুয়াওয়ে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাস্থ্য, স্মার্ট হোম ও অফিস সেক্টরে প্রাধান্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হুয়াওয়ে কোনোভাবেই কনজিউমার বিজনেসকে ছোট করে দেখছে না।
বার্সেলোনায় আয়োজিত এমডব্লিউসি ২০২২ উপলক্ষ্যে এই গোলটেবিলটির আয়োজন করা হয়। এই আলোচনায় হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে সহায়তা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান ও সার্কুলার ইকোনমিতে অবদান রাখার চেষ্টা করা হবে। এরই সঙ্গে ক্লিন এনার্জি উৎপাদন, ইলেকট্রিক পরিবহণ ও স্মার্ট এনার্জি সংরক্ষণকে কাজে লাগিয়ে আরও সবুজ ও টেকসই ডিজিটাল বিশ্ব তৈরির প্রচেষ্টার পাশাপাশি হুয়াওয়ে টেকসই সবুজ সমাধানে বিনিয়োগ বাড়াবে। এই ধরনের অগ্রগতির মাধ্যমে আইসিটি শিল্প অন্যান্য শিল্পকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, জীবনকে আরও সুন্দর, ব্যবসাকে আরও স্মার্ট আর সমাজকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে এমন সমাধান তৈরিতে হুয়াওয়েতে আমরা সারা বিশ্বের ক্যারিয়ার এবং অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমাদের আইসিটি প্রযুক্তি বিশ্বকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে কীভাবে সাহায্য করছে সেটাও আমরা শেয়ার করতে চাই। একইসঙ্গে সকলে মিলে আমরা সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে পারবো।
এশিয়া প্যাসিফিকে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়তে সহায়তা করার লক্ষ্যে গত বছর হুয়াওয়ে ঘোষণা করে যে ২০২৬ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিকে পাঁচ লাখ ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা) এবং এই অঞ্চলে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে তিন বছরে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে।