স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেনী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি টিম ছাগলনাইয়া পৌরসভায় নদীর কুল বাশপাড়ার গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা মিন্টুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা মিন্টুর দুটি ঘর তল্লাশি করে কোনো মাদক না পেয়ে তার স্ত্রী পারুল বেগমকে মাদক বের করে দিতে ও তার স্বামীর সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী জিয়া সম্পর্কে তথ্য দিতে চাপ দিতে থাকে।
এ সময় পারুল তাদের জানান, তার স্বামী মিন্টু মাদক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাদেরকে হয়রানি না করার জন্য অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের আকুতি-মিনতিও জানান তিনি। এক পর্যায়ে সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক দিয়ে জেলে তার স্বামীর কাছে পাঠানোর কথা বলে টিমের সদস্যদের পারুলকে গাড়িতে তুলে নিতে নির্দেশ দেন। এতে ভয়ে পারুল অচেতন হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত লোকজন ও বাড়ির লোকদের ডেকে পারুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
পরে বাড়ির লোকজন পারুল বেগমকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইরে থেকে তার ইসিজি করিয়ে নিয়ে আসতে বলেন। স্বজনরা পারুলকে নিয়ে ছাগলনাইয়া সিটি ল্যাব নামের বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানেও ইসিজি না থাকায় পরে বেসরকারি তারেক মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে ইসিজি করার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।