মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ডামি নির্বাচন ও সংসদ বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। যা হয়েছে তা মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার আয়োজন। এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যে সংসদ গঠিত হয়েছে, সেটিও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া অবৈধ সংসদ। ফলে এই সংসদ ও সরকার জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না। বরং যতদিন টিকে থাকবে, মানুষের সর্বনাশ বাড়তে থাকবে। বাড়তে থাকবে দমনপীড়ন ও নির্যাতন।
তারা বলেন, এই সরকার যতদিন টিকে থাকবে, তাদের পোষ্য একচেটিয়াদের লুট ও দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে। ইতোমধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে লুটের আয়োজন চলছে। ব্যাংকগুলোকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। টাকা ছাপিয়ে লুটের আয়োজন চলছে। সরকারের বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা দাসত্বের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যের মৃত্যুতেও তারা (সরকার) জবাবদিহিতা চাইতে পারছে না। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে শেখ হাসিনার সরকার জলাঞ্জলি দিয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু। বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করেন। মিছিলটি তোপখানা রোড হয়ে পল্টন মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।