তবে অবাক করার মতো ঘটনা হলো, অসুস্থ গৃহকর্তাকে ডাকাতরাই পানি পান করিয়ে সেবা করে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। এরপরই তারা বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় সোবাহানের ভাতিজা, স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলামের ঘরেও ডাকাতি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দুই পরিবারের ঘর থেকে প্রায় সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে ডাকাত দল। জহিরুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মুখোশধারী ডাকাতরা তার আধাপাকা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের আসবাব তছনছ করে নগদ ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায় তারা।
অন্যদিকে সোবাহান হাওলাদারের জানান, পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে ডাকাতেরা ঘরে প্রবেশ করে। তিনি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাকাতেরা তাকে পানি পান করিয়ে সেবা করে। পরে ঘরের আলমারি ভেঙে এক ভরি স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। ডাকাতেরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দুই ঘরে তাণ্ডব চালায়।
মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।