জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৭৫ শতাংশ মনে করেন, ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হলে তা সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, নির্বাচন আরও এক বছর বা তারও পরে হলে ভালো হবে।
জরিপটি পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল, যা শুরু হয় ২৩ মার্চ এবং ফলাফল ৬ এপ্রিল জমা দেওয়া হয় পরামর্শক কমিটির কাছে। এতে শিক্ষার্থীরা ই-মেইলের মাধ্যমে ডাকসু সম্পর্কিত আটটি প্রশ্নে মতামত দেন।
শিক্ষার্থীদের প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতামত–
#নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জরুরি পদক্ষেপ– ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী চান প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী চান সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ও গণনা, ১৪% শিক্ষার্থী চান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা।
১. ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য অবস্থান– ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ভোটকেন্দ্র হবে নির্দিষ্ট একাডেমিক ভবন (যেমন কার্জন হল, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ভোটকেন্দ্র হবে একাডেমিক ভবন ও হলগুলোতে, ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী চান ভোটকেন্দ্র হবে শুধু হলে।
২. প্রার্থিতার যোগ্যতা সম্পর্কে মত– ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে প্রার্থিতা দাখিলের সময় থেকে অন্তত এক বছর বৈধ ছাত্রত্ব থাকা উচিত, অন্যান্য প্রস্তাব– ন্যূনতম সিজিপিএ, নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও কোনো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত না হওয়া।
৩. নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি– ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি মিলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত। অন্যদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথবা বাইরের নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে কমিশন গঠন করা যেতে পারে।