বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। এতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমদ জুবেল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তওফিকা প্রিয়া, এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈমসহ আরও কয়েকজন সংগঠনের নেতা স্বাক্ষর করেছেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মতে, ঢাবির ছাত্র রাজনীতির ধরন ও প্রকৃতি নির্ধারণে গঠিত কমিটির উদ্যোগে গত ১০ ডিসেম্বর সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা ওই ৩টি সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা তৎক্ষণাৎ সভাটি বয়কট করেন। এর আগে ছাত্র সংগঠনগুলো বারবার ছাত্রশিবিরের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানা কৌশলে ছাত্রশিবিরকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের মতে নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। কিন্তু একই সময়, আমরা দেখতে পাচ্ছি জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা আল-বদর বাহিনী গঠন করে এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল।’
তারা আরও বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবিরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। এসব সংগঠনের কারণে আগামীতে ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত হবে। এতে ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচারের শক্তি শক্তিশালী করবে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা অবিলম্বে ডাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারের আহ্বান জানান এবং নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেন।