একদিনের ব্যবধানে আবার ৫০ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম ৯২ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দরে সাড়ে ১০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদার বিপরীতে প্রতি ডলার ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করা হয়।”
এতে আরও এক দফা মান কমে আন্তঃব্যাংক বাজারে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছায় ডলার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডলার বিক্রি হয়েছিল ৯২ টাকায়।
এর আগে গত বুধবার গত কয়েক মাসের মধ্যে ধারার বিপরীতে প্রথম দাম কমে ডলারের। এতে টাকা দর বেড়ে দাঁড়ায় ডলারপ্রতি ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। মঙ্গলবার এ দর ছিল ৯২ টাকা।
আমদানি দায় মেটাতে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সরবরাহ সংকটে অস্থির হয়ে ওঠা ডলারের বাজার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০০৩ সাল থেকে অনুসরণ করে আসা ডলারের দর নির্ধারণের ‘ম্যানেজড এক্সচেঞ্জ রেট’ তুলে নেওয়ার কথা ব্যাংকগুলোকে গত ২ জুন জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই দিন সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, “ওপেন মার্কেট অনুযায়ী ডলারের দাম ঠিক হবে। এটি না করলে রেমিট্যান্স কমে যাবে বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন। তবে বাজারের উপর ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা মনিটরিং করবে।”
তবে এরপর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করছিল আন্তঃব্যাংক লেনদেনে সেটিকেই অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘ম্যানেজড এক্সচেঞ্জ রেট’ তুলে নেওয়ার আগ মুহূর্তে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৯ টাকা। আমদানি দায় মেটানো ও ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে গিয়ে ডলার বিক্রিতে টাকার মানের পাশাপাশি কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।
গত ৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ৪১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।