যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতিকে স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়ায় দেশটির মুদ্রা ডলারের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এ মার্কিন মুদ্রার দাম ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার রয়টার্স জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে এ মুদ্রার। ডলারের দাম প্রায় ১৩ শতাংশ পড়ে গেছে। মার্কিন মুদ্রার এ ব্যাপক দরপতনের কারণে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন সম্পদের মূল্য বেড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুন মাসে মূল্যস্ফীতি তিন শতাংশ কমেছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য মুদ্রা চাঙা হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইউরোর দর বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র এই মুদ্রাটির মূল্য এখন ১ ডলার ১০১৮ সেন্ট।
পাউন্ডের দামও বেড়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দর স্থির হয়েছে ১ ডলার ২৯৪০ সেন্টে। গত ১৫ মাসের মধ্যে এটা সবচেয়ে বেশি।
জাপানি মুদ্রাও ব্যাপক শক্তিশালী হয়েছে। প্রতি গ্রিনব্যাকের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৪০ ইয়েনে। গত এক মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক।
নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ০.৩৪ শতাংশ। ১ কিউই কারেন্সির দর হয়েছে ০.৬২১৯ ডলার। অস্ট্রেলিয়ান মুদ্রা ঊর্ধ্বগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ।