বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গো অধ্যায় শেষ হতে চলেছে? শ্রীধরন শ্রীরামকে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টির সংস্করণের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর এমন কৌতূহল আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে এর আগেই উঠে এসেছে বর্তমান হেড কোচের সঙ্গে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের মনোমালিন্যের বিষয়টি। সেটি এখন আরো ডালপালা মেলেছে।
তবে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন তেমনটি মনে করেন না। প্রোটিয়া এই কোচের ওপর খেলোয়াড়দের কোনো ক্ষোভ নেই বলে জানান সুজন। আজ শনিবার আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শেষে মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমে সুজন জানালেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ডমিঙ্গোর। ভাষাগত সমস্যায় কারণে অনেকেরই যোগাযোগে সমস্যা হয়।
সুজন বলছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের ক্ষোভ ডমিঙ্গোকে নিয়ে, আমি এটা মনে করি না। খেলোয়াড়রা ওর সাথে ফ্রেন্ডলি, ডমিঙ্গোও খুব ফ্রেন্ডলি মানুষ। আমি যতটা চিনি- খুব ফ্রেন্ডলি, ছেলেদের ভেতরে যায়, চেষ্টা করে কথা বলতে। ভাষাগত সমস্যায় ছেলেরা হয়ত কথা বলতে পারে না। কিন্তু যেকোনো বিষয়ে ওর সাথে কথা বলা যায়।
তবে ডমিঙ্গোর কোচিং কৌশলে যে বাংলাদেশ দল উন্নতি করতে পারছে না, সেটি অকপটে স্বীকার করে নিলেন সুজন।
সুজন বলেন, ‘প্রত্যেক কোচের ভিন্ন দর্শন থাকে। প্রত্যেক কোচের দর্শন আলাদা। ওর (ডমিঙ্গো) দর্শন হয়ত আমাদের ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটে মানানসই হচ্ছে না সত্যি বলতে। এটা তো কথায় হবে না, পারফরম আমরা করতে পারছি না টি-টোয়েন্টিতে। একটা ভিন্ন দর্শন এলে সমস্যা কী? যদি দেশের জন্য, ক্রিকেটের জন্য ভালো হয় অবশ্যই সেটা নিতে হবে। এশিয়া কাপে হয়ত সেরকম চিন্তাই আমরা করছি।’
এশিয়া কাপে ডমিঙ্গো থাকবেন কিনা তার জবাবে সুজন বলেন, ‘এটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। বলেছেন ২২ তারিখ জানাবেন। শ্রীরাম কাল আসছে। আমিও ওর সাথে খেলেছি, কিন্তু কোচিং কীভাবে করায় সেটা তো দেখিনি। পাপন ভাই উনার সাথে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে এশিয়া কাপে কে কোচ থাকবে। ও আসছে আপাতত টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাজ করবে। দেখা যাক কী হয়।’