শীতের মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখছে উপমহাদেশ। বাংলাদেশজুড়ে তীব্র ঠাণ্ডা বিরাজ করছে। একই আবহাওয়া চলছে ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে। রাজধানী দিল্লিতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সম্প্রতি শূণ্য ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখেছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, শীতের দিল্লি টেক্কা দিচ্ছে হিমালয়ের পাহাড়ি শহরগুলোকেও। বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী শহরের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেছে। এমন অবস্থাকে শৈত্যপ্রবাহের লক্ষণ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবার মৌসুমের ‘শীতলতম দিন’ দেখেছে দিল্লি। ভারতের রাজধানী শহরের সফদরজং এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আয়ানগরে পারদ নেমে যায় ২.২ ডিগ্রিতেও। উজওয়ায় ২.৩ ডিগ্রি এবং দিল্লি রিজ ও লোধি রোড এলাকায় তাপমাত্রা ২.৮ সেলসিয়াসে নেমে আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে যা প্রায় ৪ ডিগ্রি কম।
কনকনে ঠাণ্ডার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি। যার ফলে কমেছে দৃশ্যমানতা। তার প্রভাব পড়েছে যানবাহন চলাচলেও।
ভারতের মৌসুম ভবনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ঘন থেকে অত্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা।
মৌসুমে সবচেয়ে ঠাণ্ডা দেখছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গও। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু কলকাতা নয়, তাপমাত্রা কমেছে রাজ্যের সর্বত্র।
সিকিমে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। সাদা তুষারে ঢেকে গিয়েছে সিকিমের অধিকাংশ অঞ্চল। মঙ্গলবার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্য ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাংটকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। সম্ভাবনা রয়েছে তুষারপাতের।
খারাপ আবহাওয়ার জন্য নাথুলা এবং ছাঙ্গু যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সিকিমের প্রশাসন এবং পর্যটন বিভাগ। চলতি সপ্তাহের পরিস্থিতি দেখে আবার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।