রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী অঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন রেলওয়ের কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি মেনে নেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
তবে শিডিউল বিপর্যয়ের পড়া ট্রেনের টিকিটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বেলা ১২টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে দিনে ৭২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। কিন্তু আজ ধর্মঘট থাকায় সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব ট্রেনের টিকিট যাত্রীদের ফেরত দেয়া হচ্ছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্টেশন থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। এদিকে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। এরমধ্যে শিশু-বৃদ্ধসহ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের রানিং স্টাফদের যে অসুবিধা ছিল, তা নিয়ে আমি অর্থ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, যে প্রজ্ঞাপনের কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটা আমরা বাতিল করে দেব। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে, গত ১০ই এপ্রিল যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটি বাতিল করা হলো। মন্ত্রী বলেন, আগামী ১৯শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আমাকে সময় দিয়েছেন। আমার সচিবসহ আমি দেখা করব। আশা করছি আগামী ১৯ তারিখের মধ্যে বিষয়টির ফয়সালা আমরা পেয়ে যাব। আবার পেনশন-ভাতা যেভাবে রানিং স্ট্যাটাস ছিল, সেভাবেই পাবে বলে আশা করি। কর্মবিরতির জন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে রেল বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল রেলের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে রানিং স্টাফদের নেতারা।