চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন আসার সময় লাইনে উঠে যাওয়া মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন ট্রেনের ধাক্কায়। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বড়তাকিয়া রেল স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত সবার বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলা আন্তনগর ট্রেন মহানগর প্রভাতীর যাত্রাকালে মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে রেললাইন অতিক্রম করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটি লাইনে ওঠার পর ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়। তারা আরো বলেন, মাইক্রোবাসটি করে কয়েকজন খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে এসেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার এসআই সৈয়দ আহমদ বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
তবে দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এর ঘণ্টাখানেক পর জানা যায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ মিরসরাই ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনায় মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাইক্রোবাসটিকে রেললাইন থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।
দুর্ঘটনার পরপর চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেছিলেন, খৈয়াছড়া এলাকায় একটি ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের কয়েকজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খৈয়াছড়া এলাকায় রেলওয়ের ওপর দিয়ে একটি সড়ক পথ গেছে। সেখানে রেলওয়ের নিযুক্ত গেটম্যানও আছে। দুর্ঘটনার পরপর গেটকিপারে সঙ্গে কথা বলেছি। গেটকিপার আমাকে জানিয়েছেন, ট্রেন আসার আগেই গেট ফেলা ছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক গেটবারটি জোর করে তুলে রেললাইনে প্রবেশ করেন। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।