সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর থেকে আমেরিকার সমস্ত সরকারি কর্মীর কাছে ই-মেইল পাঠানো। তাতে বলা হয়, এক সপ্তাহের কাজের হিসাব দুই দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে কর্মীদের। তা করতে না পারলে ওই কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের দফতরের এই নির্দেশ নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয় আমেরিকার হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীর মধ্যে। চাকরি নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের ই-মেইল পাওয়ার পর আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানেরাই কর্মীদের জানান, আপাতত ওই ই-মেইলের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এরপর জানা যায়, আমেরিকার বিভিন্ন দফতর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষানবীশ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত কর্মী চাকরির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষে আছেন, তারাই আমেরিকায় শিক্ষানবীশ হিসেবে বিবেচিত হন।

এই অবস্থায় আদালত জানায়, হোয়াইট হাউসের কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের কোনো অধিকারই নেই কর্মীদের ছাঁটাই করার। তারা যেমন কর্মীদের নিয়োগও করতে পারে না, বরখাস্তও করতে পারে না। বিচারক উইলিয়াম অ্যালসুপ বলেন- ‘আমেরিকার সরকারি কর্মীদের নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের অধিকার রয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানদের। আমেরিকার কংগ্রেস এই অধিকার কেবল দফতরগুলোর হাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।’
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জানিয়েছেন, ফেডারেলে কর্মীসংখ্যা তিনি কমাতে চান। তাতে আমেরিকা সরকারের বাড়তি খরচ কমবে। ইলন মাস্ক এই কাজে ট্রাম্পের সহায়ক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরামর্শদাতার ভূমিকাও পালন করেছেন। ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যেই মাস্ককে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কর্মীদের বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে সরকারকে। তবে আদালতের নির্দেশনায় আপাতত নিজের মিশন বাস্তবায়ন করতে পারছেন না ট্রাম্প ও ইলন মাস্করা।