সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি সম্পন্ন করে। ইরান অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এই পরীক্ষাকে সেক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইআরজিসির গবেষণা বিভাগের প্রধান জেনারেল আলি কুহেস্তানি বলেছেন, সাদিদ-৩৬৫ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি আট কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম। গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং এটি ট্যাংক সুরক্ষা ব্যবস্থা বা একেএস ভেদ করে যেকোনো ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম।
ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এই জেনারেল জানান, তার বাহিনীর গবেষকরা ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যকারিতা ও বিধ্বংসী ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আইআরজিসির সাঁজোয়া যানগুলোতে চারটি করে সাদিদ-৩৬৫ ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হবে যার দু’টি থাকবে সামনে ও দুটি পেছনে।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ জুলাই আইআরসিজি প্রথম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আলমাস ব্যবহার শুরু করে। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি এরইমধ্যে আরবিল-৩ ড্রোনে স্থাপন করা হয়েছে।