বর্তমানে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের কারণে টেস্ট ক্রিকেট সংকুচিত হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অনেকদিনের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অর্থবিত্ত ও অপার সম্ভাবনার কারণে ক্রিকেটারদের মনোযোগ সেদিকেই বেশি। ফলে জাতীয় দলে খেলার চেয়ে তারা এসব টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়াকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যার ফল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট– বিশেষত একসময়ের জনপ্রিয় সংস্করণ টেস্ট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদরা।
সাদা পোশাকের জনপ্রিয়তা বজায় রাখার জন্য অভিনব পারমর্শ দিলেন রবি শাস্ত্রী। এমসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ও কোচ টেস্ট খেলিয়ে দেশের সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা কমিয়ে ছয় বা সাতে নিয়ে আসার কথা বলছেন শাস্ত্রী। তার মতে, বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগের আধিপত্যের জন্যই টেস্ট ক্রিকেট পিছিয়ে পড়ছে।
শাস্ত্রীর যুক্তি, ‘১২টা দল টেস্ট খেলে। সংখ্যাটা কমিয়ে ছয়-সাতে আনতে হবে। রেলিগেশন-প্রমোশন সিস্টেম চালু করতে হবে। দুটো টায়ারের টেস্ট ফরম্যাট করা যেতেই পারে তবে টেস্ট খেলিয়ে দেশের সংখ্যাটা কমিয়ে ছয় বা সাতে আনতে হবে। সংখ্যা কমিয়ে আনলে টেস্টের প্রতি আকর্ষণ বজায় থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আকর্ষণ বজায় রাখার জন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে ছয় বা সাতে আনা আবশ্যক। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলাটার বিস্তার ঘটানো উচিত।’
রবি শাস্ত্রীর মতে, টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাকি দেশগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। এদেশের (ভারত) মাটিতেও টেস্ট ক্রিকেট হলে, দর্শক সংখ্যা কমে যায় বহুগুণে। অন্যদিকে আইপিএলে ভরা স্টেডিয়ামই ব্যাট-বলের লড়াই হয়। সেই কারণেই শাস্ত্রীর এমন পরামর্শ।
এদিকে, টেস্টে রেলিগেশন-প্রমোশন সিস্টেম চালু হলে ফরম্যাটটিতে খেলা কঠিন হবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাংলাদেশসহ দেশগুলোর।