বাংলাদেশ দল খারাপ করলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মুণ্ডপাত করা হয়। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের মনেও ডমিঙ্গো বিদ্বেষ। প্রশ্ন, কেন সফলতা এনে দিতে পারছেন না ‘মোটা’ অঙ্কের পারিশ্রমিক নেওয়া এই হেড কোচ?
ডমিঙ্গো নিজে যেমন কাঠগড়ায় উঠছেন, তেমনি কাঠগড়ায় তুলছেন এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো আর ক্রিকেটারদের মনোভাবকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পথে বাংলাদেশ দল। পাঁচদিনের ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলন সামলাতে গিয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ডমিঙ্গো।
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বলেন, ‘শুধু এই টেস্টের কথা চিন্তা করলে আমি হতাশ নই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্টই আমাদের জেতা উচিৎ ছিল। আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি যাচ্ছি। আমি দলের প্রচুর উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। তবে সেটা লম্বা সময় ধরে রাখতে পারছে না। হয়তো এমন প্রতিযোগিতার চাপ ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। এসব চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি আছে।’
‘আমি নিশ্চিত, খেলোয়াড়রাও অনেক হতাশ। আমরা উন্নতি করছি ঠিকই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ছেলেমানুষি ভুল করছি। ক্যাচ ফেলে দেওয়া, লুজ শট খেলা বা বল হাতে বাজে স্পেল। আমরা দীর্ঘ একটা সময়ের জন্য ভালো করতে পারছিই না। এটা অনেক হতাশাজনক।’
ভালো ফল আনতে না পারার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট আর খেলোয়াড়দের ভুলকে দায়ী করলেও পরে বোঝাতে চাইলেন খেলোয়াড়দের পাশে আছেন তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে লক্ষ্য বড় করতে না পারার জন্য আবার দায়ী করলেন সেই ব্যাটসম্যানসের।
ডমিঙ্গোর ব্যাখ্যা, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা করতে চাই না। তবে আমি মনে করি আমরা কিছু মোমেন্টাম নিয়ে আলোচনা করতে পারি। আমরা যখন ৪ উইকেট হাতে রেখে ১৯৬ রানের লিড নিয়ে এগিয়ে ছিলাম, ক্রিজে দুজন সেট ব্যাটসম্যান ভালো অবস্থানে ছিল। আমরা আশা করেছিলাম এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে আরও ৪০-৫০ রান যোগ হলে পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। তারা আরও একটু বেশি ব্যাটিং করতে পারলেই আমরা এগিয়ে থাকতে পারতাম।’