তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কে হতে চলেছে বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক। তবে অপেক্ষার সে পালা আজ শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাকিব ছাড়াও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আসন্ন দুই মেগা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অভিজ্ঞ সাকিবের কাঁধেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
এদিকে সাকিবকে দায়িত্ব দেয়া হলেও দীর্ঘমেয়াদে তিনি সে দায়িত্বে থাকবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয় বিসিবি। পাপন বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ—সবগুলোর জন্যই অধিনায়ক। ওর সঙ্গে সে রকম (দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্বের ব্যাপারে) আলোচনা হয়নি। ও দেশে এলে বলতে পারব। দীর্ঘ মেয়াদে ওর পরিকল্পনাটাও জানতে হবে।’
এদিকে সাকিবকে অধিনায়ক করার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবার তিন ফরম্যাটেই এক অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। তবে তিন সংস্করণেই নেতৃত্ব দেয়া সাকিবের জন্যও চাপ হয়ে যাবে বয়লেই মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে তিনটা ওর ওপর বোঝা হয়ে যাবে। কাজেই ওর সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। ওর সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলাটা এখন কঠিন। একে তো ও দেশের বাইরে, তার ওপর একটা দলের হয়ে খেলছে। ওখানে ওরও কিছু ব্যস্ততা আছে। সে জন্য ওকে বেশি ডিস্টার্ব করতে চাইনি। আজকেও আবার ওর খেলা।’
এ কারণেই আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের জন্য সাকিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলেই সবকিছু ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘মোটামুটিভাবে যেটা আমরা ঠিক করেছি, বিশ্বকাপ পর্যন্ত যে খেলা আছে, এই সময়টায় অবশ্যই সাকিব আল হাসান অধিনায়ক। ওর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব যে এটা কি দীর্ঘমেয়াদি, নাকি তিনটাই থাকবে, নাকি কোনোটা ছাড়বে। এগুলো ও এলেই কথা বলব।’
আসন্ন বিশ্বকাপই ৩৬ বছর বয়সী সাকিবের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। এরপর কতদিন তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। আর খেলা চালিয়ে গেলেও টেস্ট ক্রিকেট তিনি খেলবেন কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়। এমন অবস্থায় সবকিছু নিশ্চিত হতে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।