কলকাতায় বসেছিল তারকার হাট। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন। অভিনেতা ওম ও অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের যৌথ পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
বেস্ট সিনেমা পপুলার ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পায় অভিজিৎ সেনের সিনেমা ‘প্রজাপতি’, বেস্ট ফিল্ম জুরির পুরস্কার পায় অনীক দত্তের সিনেমা ‘অপরাজিত’।
ওয়েবসিরিজের সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। সেরা প্রমিসিং ডিরেক্টর পুরস্কার পান পরিচালক অভিজিৎ সেন, সেরা সাপোর্টিং অভিনেতার পুরস্কার পান অভিনেতা খরাজ মুখার্জী, বেস্ট চাইল্ড অভিনেতা পুরস্কার পায় সামন্তক দ্যুতি মিত্র।
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল পুরস্কার পান সংগীত পরিচালক রনজয় ভট্টাচার্য। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার পান ইমন চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চ্যাটার্জী, অনুপম রায়, আফজাল হোসেন, দীপঙ্কর দে, দীপঙ্কর দে, জিতু কমল, গার্গী রায়চৌধুরি, বিদ্যা সিনহা মিম, চঞ্চল চৌধুরী, আদৃত রায়, সোলাঙ্কি রায়, বাপ্পা মজুমদার, সামিমা চৌধুরী, বাপ্পি চৌধুরি প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন ‘এই অনুষ্ঠান আজ কুড়ি বছরে পা দিল। খুব ভালো লাগছে মৃণ্ময় কাঞ্জিলাল এত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটা আয়োজন করেন, এই অনুষ্ঠানে দুই বাংলার অভিনেতা পরিচালক ও অন্যান্য কলাকুশলীরা থাকেন। এটি একটি মিলন উৎসব বলতে পারেন। আমি এ কুড়ি বছর এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে’।
অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা জানান ‘এই বছর ওয়েব সিরিজের বেস্ট অভিনেতা অভিনেতা পুরস্কার পেয়ে আমি খুব আপ্লুত। ভালো লাগছে এমন একটি অনুষ্ঠানে পুরস্কার পেয়ে। এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়, এটি একটি অনন্য সম্মান’। দুই বাংলার খুব প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী জানান, ‘এই মিলন উৎসবে আমাদের দুটি বাংলা একটি ভালোবাসার বন্ধনে যুক্ত হয়। এমন একটি অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি খুব খুশি’।
অনুষ্ঠানের কর্নধার মৃণ্ময় কাঞ্জিলাল জানান, ‘এই কুড়ি বছরে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সবাইকে সাথে পেয়েছি এই পথ চলায়। আজ দেখতে দেখতে কুড়ি বছরে পা দিলাম। যারা ভোট দিয়েছেন, যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক ভালোবাসা সবার জন্য’।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেছেন অভিনেতা ইশান মজুমদার, ফাহিম ইসলাম ও অভিনেত্রী অমৃতা দে।