ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও ঠিকাদার মিয়া মো. খালেদ রাজু হাসপাতালের সভাকক্ষে হাতাহাতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ ও হাসপাতালের আনসার সদস্যদের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রোববার (২৩ মে) দুপুরে টেন্ডার নিয়ে সভাকক্ষে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হাসপাতালের উপ-পরিচালক আজাদ স্যার ও ঠিকাদার রাজুর মধ্যে টেন্ডারের কমিশন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। শুনেছি তাকে এর আগে কাজের জন্য কমিশন দেওয়া হয়েছে।’ তারা বলেন, ‘আজাদ স্যার আরও টাকা চান। এ নিয়েই রাজুর সঙ্গে আজাদ স্যারের হাতাহাতি হয়। পরে আমরা সবাই ছুটে আসি।’
হাসপাতালের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজুর কাছে কমিশন চান হাসপাতালের উপ-পরিচালক। রাজু দিতে না চাওয়ায় হাতাহাতি হয়। এছাড়া তার কাছে থাকা অস্ত্রও দেখাতে পারেন বলে জানান তারা। তারা আরও বলেন, ‘এটা হাসপাতালে আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ জন্য কেউ ওপেনলি কোনো কিছু বলছে না। রাজুর জন্য হাসপাতালে কোনো ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। সে একাই সব কাজ করে।’
জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। পরিচালক স্যারের কাছে যান। তিনি সবকিছু বলতে পারবেন। আমি কিছু জানি না।’ ঠিকাদার মিয়া মো. খালেদ রাজুকে বারবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘হাসপাতালের উপ-পরিচালক ও ঠিকাদারের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগ থানা ও হাসপাতালের আনসার সদস্যদের ডাকি। এমন ঘটনা কারো জন্যই ভাল নয়। ঘটনাটি যাতে বড় আকারের দিকে যেতে না পারে সে জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সঠিক কারণ বের করে পরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’