দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড টিকার মজুত রয়েছে আর মাত্র এক লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ ডোজ। মঙ্গলবার (০৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অধিদফতরটির দেওয়া তথ্যমতে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৪৮ হাজার ৭৫৬ ডোজ। এই হিসাবে টিকা মজুত আছে আর মাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ ডোজ।
জানা গেছে, এক কোটি ৪৮ হাজার ৭৫৬ ডোজ টিকার মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ২৮ হাজার ৭৪১ জন। দুটি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৮ হাজার ৭৫৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এগুলো পুরোটাই দেওয়া হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। এদেরকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের মাধ্যমে। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। প্রতিমাসে সেখান থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।