নর্থ-ওয়েস্ট ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে ক্যাম্ফার ২.৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ৫টি উইকেট নেন। এই নজিরবিহীন কীর্তির সুবাদে প্রতিপক্ষের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ৮৮ রানে, লক্ষ্য ছিল ১৮৯।
১৪তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেও ফেলেন ক্যাম্ফার। তবে আইরিশ এই বোলারের জাদু দেখানো তখনো যেন বাকিই ছিল। কেননা এরপরের দুই বলেও রোবি মিলার ও জশ উইলসনকে আউট করেন তিনি। অর্থাৎ ১১.৪ ওভার থেকে ১৩.৩ ওভারের মধ্যে নিজের করা ৫ বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন ক্যাম্ফার। এই পাঁচ বলে একেবারে গুঁড়িয়ে যায় ওয়ারিয়র্সের ইনিংস।
এত বড় কীর্তির পরও বরাবরের মতো নির্লিপ্ত ক্যাম্ফার বলেন, “ওভার পরিবর্তনের কারণে তখন আসলে বুঝতে পারছিলাম না কী ঘটছে। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছি, বাকিটা তো ভাগ্যের।” জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আরেক ব্যাটার থাকলে ছয় বলে ছয় উইকেট নিতে পারতেন কি না? “না, সেটা সম্ভব হতো না বোধহয়,” হেসে জবাব দেন ক্যাম্ফার।
চোট কাটিয়ে ফেরার পর এটা ছিল ক্যাম্ফারের দ্বিতীয় ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে আঙুলের চোটের কারণে খেলতে পারেননি। ফেরার পর লেইনস্টার লাইটনিংয়ের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৫৭ রান করেছিলেন, যদিও বল হাতে নামেননি। এই ম্যাচে ব্যাটেও ছিলেন মারকুটে, ২৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। চোট থেকে ফেরার অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যাম্ফার বলেন, “চোট পেয়ে বাইরে থাকা একেবারেই অন্ধকার সময়ের মতো। তবে দলের সঙ্গে আবার যুক্ত হয়ে ভালো লাগছে। সবার সঙ্গে থেকে খেলায় মন দেওয়াটাই এখন আমার লক্ষ্য।”