বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে পুরুষ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন চারজন। সূর্যর সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা, উগান্ডার বাঁ-হাতি স্পিনার আল্পেশ রামজানি এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপম্যান।
টি-টোয়েন্টিতে রাজ করছেন সূর্যকুমার। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ১৭ ইনিংসে ৪৮.৮৮ গড় ও ১৫৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭৩৩ রান। বছরের শেষ দিকে এসে ভারতকে নেতৃত্বও দেন। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন বছরে নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতক। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পান তিনি।
অন্যদিকে, বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা উগান্ডার ক্রিকেটার আল্পেশ রামজানি বিশ্বের সব দলের বড় নামগুলোকে টপকে গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন। ৩০ ম্যাচে ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে বোলিং করে ৫৫টি উইকেট। প্রতি ১১ বলেই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার। আর দিয়েছিলেন মোটে ৯ এর কম রান। ২০২৪ সালের আইসিসি ইভেন্ট হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসছে টি-টোয়েন্টি। যেখানে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে অংশ নিচ্ছে আফ্রিকান দেশ উগান্ডা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা খেলছে কোনো মেজর আইসিসি ইভেন্ট। আর এই সাফল্যের বড় অংশ এসেছে আল্পেশ রামজানির কল্যাণে।
এ ছাড়া মনোনয়ন পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাও। দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাদ পড়ে গেলেও রাজা ছিলেন অনবদ্য। ১১ ইনিংসে ৫১.৫০ গড় ও ১৫০.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন। পাশাপাশি ১৪.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে।
এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান চ্যাপম্যানের জন্যও বছরটা শুভই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে করেন ২৯০ রান। সেখানে খেলেন ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, যাতে সিরিজ ড্র করে নিউজিল্যান্ড। বছরে সব মিলিয়ে এ সংস্করণে ৫০.৫৪ গড়ে ৫৫৬ রান করতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৫.৫৪ স্ট্রাইক রেটে।
একই দিনে আজ মেয়েদের বর্ষসেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটারের নামও ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০২৩ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। সংক্ষিপ্ত তালিকায় হেইলি ম্যাথিউসের সঙ্গে আরও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি, ইংল্যান্ডের সোফি একলস্টোন ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।