রোববার রাত ১১টায় এমিরেটসের ফ্লাইটে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে সাকিব আল হাসান একা। ‘না’ করে দিয়ে আবার ২৪ ঘণ্টা আগে নাটকীয়ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার।
সব কিছু ঠিক থাকলে আজ ১৪ মার্চ সোমবারই জোহান্সবার্গ পৌঁছে যাবেন সাকিব। তার আগে সেই ১১ মার্চ রাত, ১২ মার্চ সকাল ও রাতে যে তিনভাগে ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফরা গেছেন তারা কি দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গেছেন?
দেশের ক্রিকেট অনুরাগিরা সেভাবে এখনো তা জানেন না। কী করে জানবেন? জাতীয় দল দেশের বাইরে গেলে যিনি সব খোঁজ-খবর দেশে মিডিয়াকে পাঠান, সেই বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম ঢাকা ছেড়েছেন আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়। কাজেই তিনি এখনো দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছাননি।
আর সে কারণেই টিম বাংলাদেশের কোন বহর এখন কোথায়? তাদের পরবর্তী কার্যক্রম কী? টেস্ট দল কেপটাউন গেছে কি না? ওয়ানডে দলের তো জোহানেসবার্গ পৌঁছে যাওয়ার কথা, তারা কী পৌঁছেছেন?
রোববার রাতে জোহানেসবার্গ থেকে মুঠোফোনে জাগোনিউজকে সে তথ্য দিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। দলের সঙ্গে নির্বাচক হয়ে যাওয়া বাশার জানালেন, তিনি ছিলেন প্রথম বহরের যাত্রী। ১১ মার্চ রাতে ১১টা নাগাদ ঢাকা ছেড়েছিলেন। জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন স্থানীয় সময় ১২ মার্চ ভোর তিনটায়।
আর যে দলটি ১২ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে, সে দ্বিতীয় বহরটি জোহানেসবার্গ পৌঁছেছে ১২ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায়। হাবিবুল বাশারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অধিনায়ক মুমিনুল হক সহ ৬ টেস্ট স্পেশালিস্ট এবং মিঠুন আর রাজাসহ ৮ ক্রিকেটার চলে গেছেন কেপটাউনে।
বাকি ১৬ ক্রিকেটার ও কোচিং এবং সব সাপোর্টিং স্টাফরা এখন জোহানেসবার্গের আইরিন কাউন্টি লজ নামক হোটেলে অবস্থান করছেন। বাশার জানান, হোটেলটি জোহানেসবার্গ আর প্রিটোরিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখানে আসার পরপরই সব ক্রিকেটার, কোচিং, সাপোর্টিং স্টাফ ও কর্মকর্তাদের কোভিড টেস্ট হয়েছে এবং প্রত্যেকেরই রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। কারোই পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।
বাশার আরও জানালেন, করোনা প্রটোকলের খুব বেশি কড়াকড়ি নেই। আগামীকাল ১৪ মার্চ সোমবারই অনুশীলনে নামবে ওয়ানডে দল। স্থানীয় সময় সকাল ৯টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) প্র্যাকটিস ভেন্যুর উদ্দেশ্যে টিম বাস ছাড়বে।
বলে রাখা ভাল, আগামী ১৮মার্চ জোহানেসবার্গের সেঞ্চুরিয়ানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশের।