২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শুরু হয়েছে গত বছরের জুনে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দিয়ে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ফের শুরু হয়েছে সাদা পোশাকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এই লড়াই। তবে এবারের টুর্নামেন্টে পয়েন্টের হিসাব নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা রকম আলোচনা।
.
এর উত্তর জানতে হলে প্রথমেই বলে রাখা ভাল, অবারের চক্রে পয়েন্ট তালিকা নির্ধারিত হচ্ছে সরাসরি পয়েন্টের হিসাবে নয়, বরং পয়েন্ট শতাংশের হিসাবে।
পয়েন্টের হিসা
একইভাবে বাংলাদেশ এই চক্রে দুই ম্যাচ খেলে একটি জয় এবং একটি পরাজয় নিয়ে পেয়েছে ১২ পয়েন্ট। অন্যদিকে সাত ম্যাচে ৪ জয়, ২ হার এবং ১ ড্র এবং ১০ পয়েন্ট কর্তনের পর অজিদের পয়েন্ট এখন ৪২।
পয়েন্ট শতাংশের হিসাব
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে জয়-পরাজয়ের ভিত্তিতে পয়েন্ট পায় দলগুলো। তবে পয়েন্ট শতাংশের হিসাব করা হয় সর্বোচ্চ যত পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব ছিল এবং তাঁর যত শতাংশ পয়েন্ট একটি দল পেয়েছে তার ভিত্তিতে।
এমন হিসাবে, দক্ষিণ আফ্রিকা একটি ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব ছিল এবং তারা পেয়েছেও তাই। তাই শতাংশের হিসাবে তারা ১০০% পয়েন্ট পেয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দুইটি ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২৪ পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পেয়েছে ১২। শতাংশের হিসাবে তাই পেয়েছে ৫০% পয়েন্ট।
একইভাবে সাত ম্যাচে অজিদের ৮৪ পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু তারা পেয়েছে ৪২। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে তা ৫০%। এভাবেই চার ম্যাচ খেলে শতাংশের হিসাবে পাকিস্তান ৪৫.৮৩ এবং ভারত তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩৮.৮৯ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে।
আর এই পয়েন্ট শতাংশের হিসাবের উপরই নির্ভর করছে এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকা। তাই শতাংশের হিসাবে সবথেকে বেশি পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সমান পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চারে আর সবথেকে বেশি পয়েন্ট নিয়ে তিনে অস্ট্রেলিয়া।
কেন এমন হিসাব
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর থেকেই সমালোচনা শুরু হয় প্যেন্ট টেবিল নিয়ে। যেহেতু এ টুর্নামেন্টে সবগুলো দল সমান টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না, তাই কম ম্যাচ খেলা দলগুলোর ফাইনালে যাওয়ার সুযোগও থাকে কম। তাই সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেই এই নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে।