গতবছরের বিশ্বকাপ থেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটিং। বিশেষ করে টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতায় নিয়মিত ভুগতে হচ্ছে টাইগারদের। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা যায় পাওয়ার প্লে’তে দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে বাংলাদেশ।
সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে নিয়মিত ওপেনারদের বাদ দিয়ে দুই মেকশিফট ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ইনিংস সূচনা করতে পাঠিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। এ সিদ্ধান্ত মোটামুটি কাজেও লেগেছিল।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচের পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। এখন মিরাজ-সাব্বিরকেই পাকাপোক্তভাবে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারজনকে নির্দিষ্ট করে নিয়েই বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ দল।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে টাইগারদের তিন দিনের বিশেষ অনুশীলন পর্ব। যেখানে ম্যাচের আবহ তুলে ধরে বিভিন্ন খেলোয়াড়কে কাছ থেকে পরখ করে দেখবেন দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। আজ বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের অনুশীলনে সাব্বির-মিরাজকেই নামানো হয়েছিল ওপেনিংয়ে।
মিরাজ ব্যর্থ হলেও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন সাব্বির। তবে তাদেরকে এখনই ওপেনিংয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগেই প্রথম চার ব্যাটার চূড়ান্ত করবেন তারা। ব্যাটিংয়ের পরের পজিশনের জন্য অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সুজন বলেছেন, ‘এটা জরুরি নয় যে মিরাজ-সাব্বিরকেই (ওপেনিংয়ে নামাতে হবে)… তবে হ্যাঁ এশিয়া কাপে ওরা আমাদের শেষ ওপেনিং জুটি। সাব্বির ৫ রান করে আউট হলেও চেষ্টাটা দেখা গেছে। ছোট একটা জুটি হয়েছে। পাশাপাশি অন্য ওপেনারদেরও দেখবো আমরা।’
এদিকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তারকা ব্যাটার লিটন দাসকে ওপেনিংয়ের বদলে চার নম্বরে খেলাতে পারে বাংলাদেশ দল। সেটি হলে মিরাজ-সাব্বিরের ইনিংস সূচনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তবে কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করতে রাজি হননি সুজন। সামনের দুই দিনের অনুশীলন দেখেই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানালেন তিনি।
সুজন বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি, অন্তত ১-২-৩-৪ নির্দিষ্ট হয়ে যাবে। তারপর হয়তো আমরা অবস্থা বুঝে ব্যাটিং অর্ডারে বদল আনতেও পারি। তবে যাকেই আমরা দিবো, একটা নির্দিষ্ট রোল দেওয়া হবে। কোচও ওটাই বিশ্বাস করে। যদি আমরা লিটনকে চারে খেলাই, ওকে চারের দায়িত্বটাই বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমরা টপঅর্ডারে এতো বেশি পরিবর্তন করবো না। আমরা সবাইকে সেট করতে চাই একটা জায়গায়। মিডলঅর্ডারে ক্ষেত্র বিশেষে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন যদি আমাদের করতে হয় তাহলে সেটি ভেবে দেখবো। আমরা চাই যে, টপঅর্ডারে যারা ব্যাট করবে তারা যেনো খোলা মনেই ব্যাট করে।’