ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে হাবিবুর রহমান রিপন (৪৩) নামে এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। রোববার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের বাজারে ওয়াপদা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে
নিহত রিপন আবাইপুর ইউনিয়নে ৭ নম্বর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের মীন গ্রামের বাসিন্দা ও আবাইপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানায়, শৈলকুপা উপজেলারআবাইপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের সমর্থক রঞ্জু ও সাবেচেয়ারম্যান মুক্তার মৃধার সমর্থক হাবিবুর রহমান রিপনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ১৪ অক্টোবর রিপন মেম্বরের সমর্থক মুস্তাক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন রঞ্জু হোসেনের সমর্থকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে রিপন মেম্বরের সমর্থকরা রঞ্জু হোসেনের সমর্থক টেটন হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে গতকাল রাতে দু’পক্ষের বিরোধ মিমাংসা করতে কয়েক দফা শৈলকুপা থানায় বৈঠক হলেও তা অমিমাংসিত থেকে যায়। পরে রিপন মেম্বারসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে থানা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে আবাইপুর বাজারে পৌঁছালে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শৈলকুপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাস মণ্ডল বলেন, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি সদস্য রিপনের সঙ্গে এলাকার অন্য একটি আওয়ামী লীগের গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে রাত ২টার দিকে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের বাজারে ওয়াপদা গেটের সামনে প্রতিপক্ষরা রিপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে রাত ৩টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায়, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোনো মামলা হয়নি এবং কোনো আটক নেই।