ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বিল ছোনাউটা গ্রামের কেরাত আলী খান মাদ্রাসাসংলগ্ন বাজারে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. আরিফুল ইসলাম (২০)। তিনি আমুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বিল ছোনাউটা গ্রামের মো. শাহ আলম আকন ওরফে লাল মিয়ার ছেলে আরিফুল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত আরিফুল ইসলামের বাবা মো. শাহ আলম আকন (৬০), মা শাহানাজ পারভীন (৫০), ভাই শরিফুল ইসলাম (২৬), চাচাতো ভাই ইব্রাহীম আকন (২৫), চাচা সোহরাব আকন (৫৫) এবং প্রতিপক্ষের মালেক সিকদার (৬০) ও অলিম সিকদার (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২১ জুন আমুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (বিল ছোনাউটা) ইউপি সদস্য পদে মজিবর সিকদার টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ও মো. জিয়াউল ফারুক ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জিয়াউল ফারুকের সমর্থক ছিলেন আরিফুল ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মো. হোসেন নামের আরিফুল ইসলামের এক চাচাতো ভাইকে ছানাউটা গ্রামের কেরাত আলী খান মাদ্রাসাসংলগ্ন বাজারে একটি দোকানে মজিবর সিকদারের লোকজন আটকে রাখেন।
এমন খবর পেয়ে ওই বাজারে অবস্থিত একটি অফিস ঘরে জড়ো হন আরিফুল ইসলাম, তাঁর বাবা মো. শাহ আলম আকন, মা শাহানাজ পারভীন ও ভাই শরিফুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাতটার দিকে মজিবর সিকদারের ৪০ থেকে ৫০ জন সমর্থক অতর্কিত ওই অফিস ঘরে হামলা চালান। এ সময় আরিফুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্য কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে মজিবর সিকদার ও জিয়াউল ফারুকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত আহত হয়েছেন সাতজন। তাঁদের আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরিফুলকে বরিশালের শের–ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।