এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৬ নভেম্বর। পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬১ জন। বাকিরা অনিয়মিত শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে, দু-বছর আগে এসএসসিতে অটোপাস পেয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৯ জন। তারাই এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সে হিসাবে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৮ জন ফরম পূরণ করেনি। শতকরা হিসাবে এটি দাঁড়ায় ২৩ শতাংশ।
এই শিক্ষার্থীরা এখন কোথায়, সে তথ্য নেই কারও কাছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা লেখাপড়া ছেড়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। এ হিসাবে তারা ঝরেই পড়েছে।
এ নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তার চাইতে গড়ে তিন লক্ষাধিক কম শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। সেজন্য করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা বেড়েছে, এটি বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর সাধারণ বোর্ডের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কারিগরি বোর্ডের ভর্তি শুরু হয়। সে কারণে অনেকে সাধারণ বোর্ডে ভর্তি হলেও পরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকে। এছাড়া কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়ালেখার জন্য চলে যায় বলে সেই সংখ্যাটা কম দেখায়।
এবার যে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আগে ফেল করা শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসেবে অংশ নিচ্ছে ৫৩ হাজার ৩১৭ জন। প্রাইভেটে ২৩২৬ জন আর ফল উন্নয়ন ১২০৩ জন।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৩ জন। নিয়মিত যে পরীক্ষার্থীরা ছিল তাদের সঙ্গে দু-বছর আগে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করেছিল মোট ২৩ লাখ ১ হাজার ৪৬৯ জন। সে হিসাবে ৪ লাখ ৭ হাজার ৫৪৬ জনই ঝরে পড়েছিল। তাদের মধ্যে আবার নারী শিক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জন।