সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Friday, July 4, 2025
  • Login
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
সময়ের দাবী
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
No Result
View All Result
সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Home জাতীয়

জয়ী মা : লিবিয়ায় গিয়ে বন্দি ছেলেসহ ৩০০ জনকে উদ্ধার করলেন মা

April 12, 2022
in জাতীয়, দেশজুড়ে
Reading Time: 1min read
A A
0
জয়ী মা :  লিবিয়ায় গিয়ে বন্দি ছেলেসহ ৩০০ জনকে উদ্ধার করলেন মা
Share on FacebookShare on Twitter

সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে বসতভিটার একটি অংশ বিক্রি করে একমাত্র ছেলে ইয়াকুবকে লিবিয়া পাঠান মা শাহিনুর বেগম। কিন্তু অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়ারা অপহরণ করে ইয়াকুবকে। ছয় মাস ধরে ছেলের খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় মা সুদূর লিবিয়া গিয়ে মাফিয়াদের হাতে বন্দি ছেলেকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন।

মাফিয়াদের কাছে আটকে থাকা আরও প্রায় ২৫০ জন বাঙালিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মা শাহিনুরের এমন সাহসী ভূমিকা ও ভালোবাসার দৃষ্টান্ত কুমিল্লাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত ২১ মার্চ ছেলেকে নিয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কালিকাপুর নিজ গ্রামে ফেরেন শাহিনুর বেগম।

কালিকাপুর এলাকার শাহিনুর বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক গ্রামবাসী ভিড় করেছে। ছোট একটি টিনের ঘরে রয়েছে একটি কক্ষ। সেখানে কোনো রকম ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করেন শাহিনুর। ছেলেকে উদ্ধারের আশা দেখিয়ে দালালরা তার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছে। এখন প্রায় ২০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারটি।

শাহিনুর বেগম বলেন, আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে । স্বামী লিবিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। চাচা শ্বশুরের কাছে বসতভিটার একটি অংশ বিক্রি করে ২০১৯ সালে ছেলেকে লিবিয়া পাঠাই। সেখানে গিয়ে তেলের কোম্পানিতে কাজ শুরু করে। আমার স্বামী ও ছেলে লিবিয়ায় কাজ করে যে টাকা পাঠাতো তা দিয়ে আমার সংসার ভালোই চলছিল। ২০২১ সালের শুরুতে আমার ছেলে মোবাইলে বলে- ‘মা আমি অবৈধ পথে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যেতে চাই। সেখানে ভালো টাকা ইনকাম। আমিও না করিনি। তখন জাহাঙ্গীর নামে এক দালালকে চার লাখ টাকা দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে যাওয়ার পথে নৌকা লিবিয়ার কোস্টগার্ডের কাছে ধরা পড়ে।

সেখানে নির্যাতন সহ্য করে ২২ দিন জেলে থাকার পর কোস্টগার্ডকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ইয়াকুবকে ছাড়িয়ে আনেন তার বাবা আবুল খায়ের। এ ঘটনার আট মাস পর ইয়াকুব আবারও স্বপ্ন দেখে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার। তখনই ঘটে যায় লোমহর্ষক ঘটনা। ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়াদের হাতে ধরা পড়ে ইয়াকুব। তখন  আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ছেলে ইয়াকুব বলেন, মাফিয়ারা আমাকে আটক করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা সব রেখে দেয়। এ সময় সেখানে আমাকেসহ প্রায় ৩০০ জনকে মাটির নিচে একটি ছোট অন্ধকার  রুমে রাখা হয়। চোখের সামনে কত মানুষ একটু খাবারের জন্য হাহাকার করেছে। কত মানুষকে অসুস্থ হয়ে মরতে দেখেছি । বসে বসে মৃত্যুর প্রহর গুনেছি। ঠিক মতো খাবার দিত না।

তিনি বলেন, মাফিয়াদের কাছে অনেক আগে আটক হওয়া সাতজন বাঙালি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করত। তারা আমাদের অনেক মারধর করত। কারণ মাফিয়ারা বলেছিল আমাদের ঠিক মতো শাসন করতে পারলে তাদের ছেড়ে দেবে। তাই তারা কথায় কথায় মারত। মারধরের ক্ষত চিহ্ন ও পোকামাকড়ের কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে। ৩০০ জনের জন্য ৩০০ রুটি দিলে সেই ৭ জন বাঙালি প্রায় ৩০-৪০টি রুটি রেখে দিত। বাকি রুটি আমরা ভাগ করে খেতাম। মাফিয়ারা বাঙালি দালালের মাধ্যমে জিম্মি করার বিষয়টি সবার পরিবারকে জানায়। ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে আমার পরিবার থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েও আমাকে ছাড়ত না। তখন শত চেষ্টা করে কারও সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বসে বসে মা-বাবার কথা মনে করে কান্না করতাম।

মা শাহিনুর বেগমের বলেন, প্রায় ছয় মাস আমার ছেলের সন্ধান না পেয়ে আমি পাগলের মতো হয়ে যাই। লিবিয়াতে আমার স্বামী আবুল খায়ের ছেলের শোকে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দালালদের টাকা দিয়েও আমার ছেলেকে খোঁজার কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। তাই সিদ্ধান্ত নিই আমি ছেলের খোঁজে নিজেই লিবিয়া যাব। তখন গ্রামবাসী বলত আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আরও কত কথা।  আমার মন বলত আমার ছেলে বেঁচে আছে। তাই কুমিল্লা গিয়ে আমি নিজে পাসপোর্ট করি। তারপর আমার জামাইয়ের সহযোগিতায় ভিসা ও বিমানের টিকিট সংগ্রহ করি।

এ বছরের ৮ জানুয়ারি  লিবিয়ায় রওনা হই। ছেলের চিন্তায় আমি বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন বিমানবালারা আমাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখেন। তারা আমাকে অনেক হেল্প করেন। প্রথমে দুবাই যাই। মিশনে ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যে বসে ছিলাম। খাওয়া-দাওয়া কিছু করতে পারিনি। মাথায় শুধু একটা চিন্তা- এত টাকা খরচ করে লিবিয়া যাচ্ছি, সেখানে  গিয়ে ছেলেকে কীভাবে খুঁজব। কিছু বাঙালির সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনঘাজিতে স্বামীর কাছে যাই। তখন আমার স্বামী খুব অসুস্থ ছিলেন। তাই নিজেই ছেলের খোঁজে আমি বের হয়ে পড়ি।

ছেলে ইয়াকুব বলেন, কয়েকমাস চেষ্টা করার পর আমাদের দেখাশোনা করত- এমন একজনের কাছ থেকে একটি মোবাইল চেয়ে নিতে সক্ষম হই। তখন বাবাকে কল দিয়ে বলি, মাফিয়ারা আমাকে  আটকে রেখেছে। আমার জায়গার নাম বলি এবং কোনো দালালকে টাকা না দিয়ে অন্য কোনো পদ্ধতিতে আমাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করি। মাত্র ১৭ সেকেন্ড কথা বলতে পেরেছি।

মা শাহিনুর বেগম বলেন, ছেলের কল পাওয়ার পর আমি আরও পাগলের মতো হয়ে যাই। তখন আমি প্রতিজ্ঞা করি, যে কোনো উপায়ে মাফিয়াদের থেকে আমার ছেলেকে উদ্ধার করব। তখন লিবিয়ায় প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন বাঙালিকে আমার ছেলের বিষয়টি খুলে বলি। তাদের সহযোগিতায় আমি বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে যোগাযোগ করি। দূতাবাস ও আইওএমের কর্মকর্তারা সব শুনে আমাকে সাহায্য করেন। তখন সেখানে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে আমার ছেলের ছবি এনে দেন। আমি ছবি দেখে চিনতে পারিনি। ছেলের অবস্থা এত খারাপ ছিল,  ছবিতে ছেলেকে দেখে চারদিন অসুস্থ ছিলাম।

আইওএমের কর্মকর্তারা লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় ইয়াকুবকে উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে সেখানে বন্দি থাকা আরও ২৫০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। আমার ছেলে উদ্ধার হলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তারা আমাকে ফোনে কথা বলিয়ে দেন। ছেলের কান্নার শব্দ শুনে আমিও কেঁদে ফেলি। তাকে একনজর দেখার জন্য বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। ছেলে তখন ত্রিপোলিতে ছিল, আর আমি বেনঘাজিতে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় গত ১০ মার্চ আমার ছেলেকে দেশে পাঠানো হয়। আমিও তাদের সহযোগিতায় ১৬ মার্চ বাংলাদেশে এসে আমার ছেলের দেখা পাই। ঢাকায় সরকারের সহযোগিতায় একটি ক্যাম্পে এক সপ্তাহ থাকার পর কুমিল্লায় নিজ গ্রামে এসে তার চিকিৎসা করাই। এখনও সে মানসিকভাবে অসুস্থ। অনেক কিছু মনে রাখতে পারে না।

মায়ের সাহসী ভূমিকা নিয়ে ইয়াকুব বলেন, আমার মা পৃথিবীর সেরা মা। আমি ভেবেছি মরে যাব, কিন্তু আমার মা আমাকে উদ্ধার করার জন্য টাকা ধার করে লিবিয়া যাবে স্বপ্নেও ভাবিনি। আবারও প্রমাণ হলো, মায়ের ভালোবাসার কোনো তুলনা করা যায় না ।

প্রতিবেশী ওমর ফারুক বলেন, লিবিয়া গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে মা ঘরে ফিরেছেন- বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই ছেলের জন্য। মায়ের এমন ভালোবাসা বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

শাহিনুর বেগম বলেন, কোনো মায়ের সন্তান যেন অবৈধভাবে ইতালি না যায়। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ- আমার ছেলের জন্য যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমি আর তাকে বিদেশ পাঠাব না। বাংলাদেশি কিছু দালাল আমার ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে আমি তাদের নামে মামলা করব। আমার কষ্টের টাকা ফেরত চাই। আমাদের বর্তমানে ২০ লাখ টাকা ঋণ আছে। আমার বসতঘর ছাড়া আর কিছু নেই। সবাই সহযোগিতা করলে ঋণের চিন্তা থেকে মুক্ত হব।

Share61Tweet38Share15
Previous Post

৭ বছরেই রশিতে বাঁধা কাওছারের জীবন

Next Post

নির্বাচন নিয়ে অনীহা অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

Related Posts

১০ গুণ দামে ইভিএম কেনার অভিযোগ, দুদকের মুখোমুখি ইসির তিন কর্মকর্তা
জাতীয়

১০ গুণ দামে ইভিএম কেনার অভিযোগ, দুদকের মুখোমুখি ইসির তিন কর্মকর্তা

July 3, 2025
একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
দেশজুড়ে

একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

July 3, 2025
গুমে সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা : সেনাসদর
জাতীয়

গুমে সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা : সেনাসদর

July 3, 2025
বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণসহ তিনটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন
জাতীয়

বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণসহ তিনটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন

July 3, 2025
বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল
দেশজুড়ে

বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল

July 3, 2025
দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার 
দেশজুড়ে

দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার 

July 3, 2025
Next Post
নির্বাচন নিয়ে অনীহা অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে অনীহা অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

Recent News

১০ গুণ দামে ইভিএম কেনার অভিযোগ, দুদকের মুখোমুখি ইসির তিন কর্মকর্তা

১০ গুণ দামে ইভিএম কেনার অভিযোগ, দুদকের মুখোমুখি ইসির তিন কর্মকর্তা

July 3, 2025

Categories

  • Uncategorized
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • জাতীয়
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • বিনোদন
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা
  • সময়ের দাবী
  • সম্পাদকীয়

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Privacy & Policy
সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা