প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৩ উইকেট। আর দুই ইনিংসেই তাকে সঙ্গ দিয়েছেন রমেশ মেন্ডিস। তাতেই কাবু আইরিশরা। দুই ইনিংসেই আয়ারল্যান্ডকে দুইশোর আগে আটকে দিয়ে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা।
গলে টেস্ট মঙ্গলবার ইনিংস ও ২৮০ রানে জিতেছে লঙ্কানরা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দলটির সবচেয়ে বড় জয় এটি। আগের সেরা ছিল ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ইনিংস ও ২৫৪ রানের জয়।
দিমুথ করুনারত্ন, কুসাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৯১ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বোলারদের নৈপুণ্যে তাদের আর ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। জয়াসুরিয়ার ছোবলে প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া আইরিশদের ফলো-অনে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা দ্বিতীয়ভাগেও। এবার জয়াসুরিয়ার সঙ্গে রমেশের স্পিনে ব্যাটিং ধসে পড়ে সফরকারীরা থামে ১৬৮ রানে।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে ৭ উইকেট নেন জয়াসুরিয়া। তার আগের সেরা ৫৯ রানে ৬ উইকেট। দ্বিতীয়ভাগে ধরেন ৩ শিকার। টেস্টে এনিয়ে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট পেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার রমেশ এবার নেন ৭৬ রানে ৪টি। দুই ইনিংসেই দুটি করে প্রাপ্তি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর।
৭ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংস টেকে কেবল ৪৫ বল। দিনের সপ্তম ওভারে তিন বলের মধ্যে লর্কান টাকার ও মার্ক অ্যাডায়ারকে সাজঘরে পাঠান জয়াসুরিয়া। রমেশের করা পরের ওভারে এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা।
৪৪৮ রানে পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ড আবার ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দ্বিতীয় ওভারে মারে কমিন্সকে ফিরিয়ে দেন বিশ্ব। দুইবারই শূন্য রানে ফেরেন আইরিশ ওপেনার। জয়াসুরিয়ার বলে ১ রানে অ্যান্ডি বালবার্নির ক্যাচ ছাড়েন বিশ্ব। এই পেসারই পরে প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে বিদায় করেন। পরপর দুই ওভারে জয়াসুরিয়া ফেরান জেমস ম্যাককলাম ও লর্কান টাকারকে। জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার পিটার মুরকে রানের খাতা খুলতে দেননি রমেশ।
৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আয়ারল্যান্ডের হাল ধরার চেষ্টা চালান হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার। তাদের ৬০ রানের জুটি ভাঙে ক্যাম্পারের বিদায়ে। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে রান আউট হন টেক্টর। পরে কিছুটা লড়াই করে ৩২ রান করেন জর্জ ডকরেল। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাডায়ার। তাতে অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে পারেনি আইরিশরা।