জ্বালানি তেল বিপণনে সরকার ও বিপিসির অনুমতিপ্রাপ্ত জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং ডিলারদের কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার নিম্নোক্ত শর্তে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন সংক্রান্ত নীতিমালা (সংশোধিত), ২০১৪ অনুযায়ী এবং জ্বালানি তেল বিপণনে সরকার/বিপিসি কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী/ডিলারদের কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করল।
শর্তগুলো হলো–
১. জ্বালানি তেলের ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্য সরকার/বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক নির্ধারিত হবে। জ্বালানি তেলের কমিশন এজেন্ট শুধু সরকার/বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)/জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানি কর্তৃক সরবরাহকৃত জ্বালানি তেল বিক্রয় করার জন্য নির্ধারিত কমিশন ভোগ করবে।
২. জ্বালানি তেলের কমিশন এজেন্টরা তেল বিপণন কোম্পানির কাছে তেলের মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে জ্বালানি তেল গ্রহণ করে শুধু গ্রাহকের কাছে বিক্রয়/সরবরাহ করবে। এর দ্বারা কমিশন এজেন্টরা বিপণন কোম্পানির মালিকানা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো অংশীদার বিবেচিত হবে না।
৩. জ্বালানি তেলের কমিশন এজেন্টরা জ্বালানি তেল বিপণনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক/নির্দেশনা অনুসারে বিপণন/সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৪. কমিশন এজেন্টদের জন্য জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনাসহ দেশে প্রচলিত যাবতীয় আইন, বিধিবিধান এবং নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তবে দেশে প্রচলিত কোনো আইন, বিধিবিধান এ প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিবিধান প্রাধান্য পাবে।
তবে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির প্রধান দাবি কমিশন বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপনে আসেনি। তাদের দাবিগুলো ছিল–
১. জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা।
২. পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা।
৩. (ক) ট্যাংকলরী ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
(খ) ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।