ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ৮২ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়নের ছয়টি অনুদান সহায়তা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ইউরো সমান ১১৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৫১ কোটি টাকা।
অনুদানের অর্থ বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভলপমেস্ট প্রোগ্রাম ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৩০ মিলিয়ন ইউরো, পার্টনারশিপ ফর গ্রিন এনার্জি ট্রানজেশন প্রকল্পের অনুকূলে ১২ মিলিয়ন ইউরো এবং অ্যাডভান্সিং ডিসেন্ট ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইইউ।
একইসঙ্গে ইফেক্টিভ গভর্নেন্স অ্যাকসিলারেটিং অ্যান্ড ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো, স্ট্রেনদেনিং প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্স টু জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স অ্যাট পাবলিক অ্যান্ড ওয়ার্কসপ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কেলিং আপ গ্রিন কন্সট্রাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মসূচির অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ।
বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং ইইউয়ের পক্ষে ইইউ মহাপরিচালক (আইএনটিপিএ) কোয়েন ডোয়েনস অনুদান চুক্তিগুলোতে সই করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তেরেসা সিজেরউইনসকা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইইউ প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ প্রধানত স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য এবং সুশাসন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।