ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির বৃহৎ চারটি অঞ্চল নিজেদের করে নিয়েছে মস্কো। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে। এমন অবস্থার মধ্যেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যা করা হবে না বলে কথা দিয়েছে রাশিয়া।
গত বছরের মার্চে এক বৈঠকে পুতিন এমন কথা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।
ইসরায়েলি সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হ্যানোচ দৌমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন নাফতালি বেনেট। তিনি বলেন, বৈঠক সেরে ফেরার সময় পুতিন তাকে বলেন, জেলেনস্কিকে বলে দেবেন- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, তিনি তার জীবনের ওপর কোনও পদক্ষেপ নেবেন না।
বেনেট বলেন, জেলেনস্কিকে এই কথা বলার পর তিনি বলেছিলেন ‘আপনি কি নিশ্চিত?’। তারপর আমি তাকে বলেছিলাম , হ্যা, শতভাগ। তিনি আপনাকে হত্যা করবেন না।
বেনেটের কথায়, তারপর ন্যাটোতে যাওয়ার বিষয়টিতে ছাড় দিতে চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমি সবকিছু যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে করেছি।
২০২২ সালের মার্চে মস্কোতে বেনেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পুতিন। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর পুতিনের সঙ্গে এটিই পশ্চিমা মিত্র কোনও নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়েছে। রাজধানী কিয়েভও একাধিক বার রাশিয়ার টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এরপরও ইউক্রেন ছেড়ে যাননি ভলোদিমির জেলেনস্কি। কমেডিয়ান ও একজন সাধারণ অভিনেতা থেকে হওয়া এই রাষ্ট্রনেতা যুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
ইউক্রেনে না ছাড়লেও ‘টেলিফোন’ অস্ত্র দিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। পশ্চিমারা তার ভূমিকা ও সাহসের ওপর ভরসা করেই মূলত হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র সরবরাহ করছে। মনে করা হচ্ছে, শীত শেষ হতেই ইউক্রেনে হামলা বাড়াবে রাশিয়া। তার প্রস্তুতি হিসেবে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ভারী অস্ত্রের আবদার করে আসছেন জেলেনস্কি।