বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে বেড়ে ২০ হাজার টাকা হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকেই প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা এই বর্ধিত হারে ভাতা পাবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা দেওয়ার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে পাঁচ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল তিন হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ছে মোট এক হাজার ৮৪১ কোটি টাকা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই লাখ পাঁচ হাজার ১১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মাসিক সম্মানী ভাতা পেয়ে আসছেন। এর মধ্যে বর্তমানে এক লাখ ৯১ হাজার ৫৩২ জন সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন ১২ হাজার টাকা করে। ১১ হাজার ৯৯৮ জন শহীদ, যুদ্ধাহত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পায় ৩০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে। আর ৫৮৭ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান ১৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন। ওই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টে সরাসরি সম্মানী ভাতা পাঠানো কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমার সরকারের সময় অবহেলায় থাকতে পারেন না। এখন আমার মনে হয়, ১২ হাজার টাকা কিছুই নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার নিচে অনেক স্লট রয়েছে।
আমরা এই তালিকার নিচের স্লটগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে এসে পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করব।’ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আগামী অর্থবছর থেকেই কার্যকর হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক ভাতা চালু করে। প্রথমবার ৩০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্মানী ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা এখন উত্সব ভাতা, মহান বিজয় দিবস ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পান।