জুলাই থেকে আবারও গণটিকা কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। আহমেদ কায়কাউস বলেন, টিকার জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চলছে এবং টিকা খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন ‘আমরা টিকা কিনে নিতে চাই। কারো দয়া চাই না। আশা করছি জুলাই থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা যাবে’ লকডাউন প্রসঙ্গে আহমেদ কায়কাউস বলেন, সারাদেশে একসাথে আর লকডাউনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে প্রশাসন প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয়ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর ঘটনা উঠানামা করছে প্রতিদিনই। এরই মাঝে টিকা স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে গেছে গণটিকা। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার থেকে গণটিকা ফের চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছিলেন। এদিকে টিকার সংকটকালে চীন উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে চলতি সপ্তাহেই দিয়েছে সিনোফার্মের ৬ লাখ ডোজ টিকা। এর একমাস আগে ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিল চীন, যা ১২ মে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। সব ডোজই চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভি টিকার।
বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।
চলতি মাসের প্রথম দিন কোভ্যাক্স থেকে মাত্র ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে টিকাস্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টিকা কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।