চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৮ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৭৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)। দৈনিক হিসাবে গড়ে দেশে এসেছে সোয়া ছয় কোটি (৬ কোটি ২৫ লাখ প্রায়) মার্কিন ডলার।
রোববার (৩০ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। গেল জুনে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ছিল গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। আর একক মাস হিসেবে এই অংক এযাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর আগের বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাইয়ের ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ চার হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৭ কোটি ছয় লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে আস্তে আস্তে ডলারের দর বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ডলার প্রতি ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছে।
সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি ছয় লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। সবশেষ ২৬ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ আছে দুই হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী- আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রকৃত রিজার্ভে ৬৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ছয় বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।