এটি সম্ভবত প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার কন্যা ভারতে সরকারি সফরে তার মায়ের পাশে থাকবেন এবং বিশ্লেষকরা এটিকে অনেক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন। সায়মা ওয়াজেদ একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, তাকে সমর্থন করার জন্য এই অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম।
বাংলাদেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে তার নির্বাচনের জন্য লবিং করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাকরির জন্য ভারতকে তার এবং নেপালের শম্ভু প্রসাদ আচার্যের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হবে। বাংলাদেশ এবং নেপাল উভয়ের সঙ্গেই ভারত তার সম্পর্কের প্রতি যে গুরুত্ব দেয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনটি কঠিন হতে পারে।
মরিশাসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের একজন বিশেষজ্ঞ ড. শান্তনু মুখার্জি আইপিএস (অব.) বলেছেন, ‘একটি বৈশ্বিক সভায় শেখ হাসিনার কন্যার ভারত সফর আকর্ষণীয় অগ্রগতি। আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য তার মনোনয়নের পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় ভূমিকা বেছে নেবেন কিনা তা দেখার বিষয়।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘ভারত সর্বদা আমাদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী (বাংলাদেশ) বহুজাতিক ফোরামে সমর্থন করে আসছে।’ শেখ হাসিনা এখনো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোনো সম্ভাব্য উত্তরসূরির ইঙ্গিত দিতে পারেননি, যদিও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনে করেন অনেকে।
সায়মা ওয়াজেদ মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকের উপদেষ্টা এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ছিলেন, তিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে আসার কোনো প্রবণতা দেখাননি।
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজের সাবেক পরিচালক এবং বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেলো ডা. শ্রীরাধা দত্ত বলেছেন, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে এখনও কোনো উত্তরাধিকার পরিকল্পনা প্রস্তাব করতে দেখিনি, যদিও কয়েক বছর ধরে আমরা লক্ষ্য করেছি যে তার ছেলে সজীবকে আওয়ামী লীগ আইটির দায়িত্ব দিয়েছে। এখন, সায়মা ওয়াজেদও ছবিতে এসেছেন। কেউ কেবল অনুমান করতে পারে যে উভয়কেই ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
এদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের পরপরই বাংলাদেশ সফরে আনবেন। আর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ঢাকা সফর করেছেন।