কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না, এটা আমি মেনে নিই না। উনাকে অনেকেই বলেন বঙ্গবন্ধুকে খুন করছে, খুনের সাথে জড়িত আছে অথবা জানতো। এগুলো মুখে না বলার চাইতে মামলা দিয়ে সাক্ষীপ্রমাণ দিয়ে উনাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন, আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না, পাকিস্তানের এজেন্ট একথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা ভালো না।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সালগ্রামপুর বাজারে (সিলিমপুর) দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কামাল হোসেনকে বড় নেতা মেনে তার পাশে গিয়েছিলাম। তিনি বিএনপির সাথে জোট করেছেন। কিন্তু তিনি নেতা না। যে ভোটার নির্বিগ্নে এসে ভোট দিতে পারবে, ঈদের দিনের মত উৎসবমুখর ভোট দেবে, সেই ভোটে যদি আপনি জিতেন আপনি নেতা হবেন। ভোট চুরি করা যাবে না। সবার পরে যখন বিএনপির জোটে গেছিলাম তেমনি এক মাসের মধ্যে জোট ছেড়ে দিছিলাম। জোট ছাড়ছিলাম এজন্য যে ভোটটা হয় নাই। মেয়ে এই আসনে (টাঙ্গাইল-৮) দাঁড়িয়েছিল। মানুষ ঘণ্টা দুই ভোট দিয়েছে। গণফোরামের একজনের মতো যদি আমার মেয়েটা সংসদে যাইতো তাহলে কি আমার মানসম্মানটা থাকতো। তাই উনারা (আওয়ামী লীগ) চুরি করছেন।
ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নবীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, আলমগীর সিদ্দিকী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এর আগে একই দিন দুপুরে সখীপুর উপজেলার হতেয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় পানিতে ডুবে নিহত শিশু মিম (৯) ও ঝুমার (৯) বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
সেখানে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে রাজনৈতিক বিভক্তি পরিবারেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মার্কা (দলীয় প্রতীক) পছন্দ করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও এ কথা বলেছি। আপনি দেশটাতে তো আগুন জ্বালিয়ে দিলেন। এমপি ইলেকশন হোক দলীয় প্রতীক দিয়ে, উপজেলাতে হোক মার্কা দিয়ে। তার নিচে কেন যাবেন। এতে চাচার সঙ্গে ভাতিজার, ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে যায়। মনোমালিন্য হয়। কেন এটা করতে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী এটা স্বীকারও করেছেন এটা ঠিক হয়নি।