পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.০৩ শতাংশ। যা বছর শেষে পরিবর্তন হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এসময় পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন এডিপির আকার বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.০৩ শতাংশ। এটা প্রভিশনাল, এক বছর পরে এটা আবার পরিবর্তন হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছয় মাসের জিডিপির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এটা অনুমোদন করলে আমরা এটা বিবিএসের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। তবে ছয় মাসের হিসেবে মাথাপিছু আয় কিছুটা কমবে। তবে সেটা ডলারে কমবে কিন্তু টাকায় বাড়বে। টাকায় বাড়লেও আমরা খুশি। আরেকটা কথা হলো, আমি আশঙ্কা করেছিলাম, গত মাসের তুলনায় এই মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলো সামান্য হলেও এই মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে।’
বিবিএস এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭ ডলার। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হয়েছিল ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৫৯১ ডলার।
এছাড়া চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ৭.৫ শতাংশ। যা পরে সংশোধন করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।