‘জায়েদ খান কোর্টের ‘ভুয়া কাগজ’ দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাকে ধোঁকা দিয়েছেন। মিডিয়ার সঙ্গেও ছলনা করেছেন। তাই তার শপথ গ্রহণ আমি অবৈধ ঘোষণা করলাম। তাকে নিয়ে করা মিটিংও বাতিল করলাম’- গতকাল সোমবার (৭ মার্চ) রাতে এফডিসিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন জায়েদ। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। নিয়ম অনুযায়ী রায় পাওয়ার পরে যে কেউ তার আইনজীবীর কাছ থেকে ল ফার্মের সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল’ইয়ারের সার্টিফিকেটও জোগার করেছি। এটা বৈধ।
আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগার করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। হাইকোর্টে আমি মামলাটা জিতেছি। এটা প্রমাণও করেছি। আমার আইনজীবী নতুন মামলার সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। কাঞ্চন ভাই পড়লেন তারপর আমাকে শপথ পাঠ করিয়েছেন। এখন প্রতারণা আসলে কই থেকে আসছে সেটা বুঝতে পারছি না।
ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই কিন্তু একবারও বলেননি আমাকে ফটোকপি দিতে। জালিয়াতি বা ভুয়া কাগজ যেটাকে বলা হচ্ছে, সেটা আসলে ঠিক কিভাবে হলো এটা বুঝতে পারছি না।
আপিলের কপি তো অনলাইনে পাবলিস্ট হয়েছে। সেই কাগজটাই আমি দিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে এভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই আসলে আমি ভাবতেই পারিনি। ওনার সব অভিযোগই অস্বীকার করছি। কারণ কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এছাড়া ফটো কপি দিতে পারি নাই, সিল ঠিক ছিল না এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই। উনি অনেক সম্মানিত মানুষ।’
জায়েদ খান এসব বিষয়ে আরও অনেক কথাই বলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন যে সিদ্ধান্ত হোক না কেন তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্ট এখন যা বলবেন তাই আমি মাথা পেতে নিবো। অন্য কারও কথায় আমি কান দিচ্ছি না।’
এর আগে, গত শুক্রবার (০৪ মার্চ) এফডিসিতে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে শপথ নেন জায়েদ খান। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।