শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। আমরা এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করব।
শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘৫ম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো অ্যান্ড ডায়ালগ-২০২৩’-এর জাহাজ নির্মাণ, শিপব্রেকিং এবং গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এক্সপোনেট এক্সিবিশনের উদ্যোগে ও নৌ-পরিবহন দপ্তরের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী (২৭-২৯ জুলাই) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মমিনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও) প্রবর্তিত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদন করেছে। এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং সমুদ্র ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশগুলোকে কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও টেকসই বিনিয়োগ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে ‘জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামতশিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপন করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং এইচকেসি কনভেনশন বা ইইউ শিপিং শিল্প কীভাবে বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধার সুবিধা নিতে পারে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে পারে সে বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেভাল আর্কিটেক্ট কবির গ্রুপের গ্রিন প্লান্টের প্রধান কর্মকর্তা মো. আল-আমিন। সবুজ জাহাজ নির্মাণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনন্দ গ্রুপের নেভাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড মেরিন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. তরিকুল ইসলাম।