জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। গতকাল শনিবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮ শিক্ষকের নাম ওই বিবৃতিতে দেখা যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার পাশাপাশি শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক গবেষণাকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। গবেষণার গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এ প্রণোদনা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষকেই না জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর দীর্ঘমেয়াদি কুফল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে।
গবেষণা ভাতা বন্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পূর্ণাঙ্গ লঙ্ঘন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষকদের ন্যায্য পেশাগত সুযোগ-সুবিধা (যেমন পিএইচডি ইনক্রিমেন্ট, অফিসকক্ষ ফার্নিচার, শিক্ষা-উপকরণ, শিক্ষাছুটিকালীন বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট) ইত্যাদি নিশ্চিত না করে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাগুলো সংকুচিত করা হচ্ছে। এতে মেধাবী তরুণেরা শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। গবেষণা ভাতা, পিএইচডি ইনক্রিমেন্টসহ প্রত্যাহারকৃত অন্য সব সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
এর আগে গত ১৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার জন্য মাসিক যে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়, তা বন্ধ করার কথা জানানো হয়।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুযায়ী এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের গবেষণা ভাতা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, গবেষণা ভাতা বন্ধ করার একটা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের নজরে এসেছে। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যাপারটা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করব।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য নুরুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।