আর মালবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে ধর্মঘট আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেছে। আগামী সোমবার থেকে যাত্রী ও মালবাহী— উভয় ট্রেনই চলবে বলে জানিয়েছেন চালকরা।
এদিকে সপ্তাহব্যাপী এই ধর্মঘটে জার্মানিতে অন্তত ১০০ কোটি ইউরোর সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ, ধর্মঘটের জেরে কেবল যাত্রী পরিষেবাতেই ব্যাঘাত ঘটছে না, সামগ্রিকভাবে জার্মান শিল্পাঞ্চলও ক্ষতির মুখে পড়ছে। দেশটির বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
এবং শুধু জার্মানি নয়, জার্মান রেলের মাধ্যমে গোটা ইউরোপে শিল্পাঞ্চলের জন্য কাঁচামাল পৌছায় ইউরোপের শিল্পক্ষেত্রের কাঁচামালের ৬০ শতাংশ যায় জার্মান রেলের মাধ্যমে। ফলে ইউরোপের অন্যান্য দেশের কপালেও ভাঁজ পড়েছে। কীভাবে কাঁচামাল পরিবহণ হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।
জার্মান ইকোনমিক রিসার্চের প্রধান মিশেল গ্রোমলিং জানিয়েছেন, ‘ছয়দিনের ধর্মঘটের ফলে সব মিলিয়ে এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরোর ক্ষতি হবে বলে মনে হচ্ছে। সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে।’
অর্থনীতির আরেক বিশেষজ্ঞ হর্গ ক্রেমারের ধারণা, ছয়দিন টানা রেল ধর্মঘটের জন্য বেশ কিছু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, সময়মতো কাঁচামালের জোগান পাবে না তারা। কারখানা বন্ধ মানে উৎপাদন বন্ধ। এই ক্ষতি এখনই হিসেব করা সম্ভব নয়। দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন ক্রেমার।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে শুধু জার্মানি নয়, গোটা ইউরোপে তার প্রভাব পড়বে। জার্মান গাড়ি শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব মিলিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির দিকে দেশ এবং ইউরোপকে নিয়ে যাচ্ছে এই ধর্মঘট।
এর আগে জানুয়ারির গোড়ায় তিনদিনের রেল ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে রেল ইউনিয়ন। দৈনিক আয় বৃদ্ধির দাবিতে তারা আন্দোলন করছে। তিন দিন ধর্মঘটের পরেও দাবি আদায় হয়নি। তাই এবার দীর্ঘ আন্দোলনের পথে নেমেছেন রেল চালকরা।