জামিনে বের হওয়া কিশোরী মেয়ের (১৬) ধর্ষককে সামনে পেয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না সাবেক সেনাসদস্য (৫২)। আদালতের সামনেই গুলি করলেন অভিযুক্ত ওই যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর দেওয়ানি আদালতের সামনে গত শুক্রবার। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান ভগবৎ সিং তার মেয়ের ধর্ষণ মামলার আসামি দিলশাদ হুসাইনকে (২৫) গুলি করে হত্যা করেছেন।
শুক্রবার গোরক্ষপুরের দেওয়ানি আদালতের প্রবেশপথে নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে গুলি চালান বিএসএফের সাবেক ওই জওয়ান। নিহত যুবক ওই জওয়ানের মেয়েকে ২০২০ সালে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন।
নিহত যুবক বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা। অপহরণ ও ধর্ষণের ওই মামলায় তিনি শুক্রবার গোরক্ষপুর দেওয়ানি আদালতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক অখিল কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং তদন্তের পর আদালতের নিরাপত্তাব্যবস্থা লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে দেওয়ানি আদালতের প্রবেশপথে নিজের আইনজীবী শঙ্কর শরণ শুকলাকে ডাকেন ধর্ষণের মামলার আসামি দিলশাদ হুসাইন। আইনজীবী সেখানে পৌঁছানোর আগেই বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান ভগবৎ সিং নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে দিলশাদের মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দিলশাদ। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। এ ঘটনার পর পুলিশ ভগবৎ এবং তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বছরের ১২ মার্চ হায়দরাবাদ থেকে দিলশাদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলেও দুই মাস আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি।