জামালপুরে দিন দিন বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২২ সালে জেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ৪ হাজার ২৩৬ জনের। দৈনিক গড় হিসেবে ১১ জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য পরকীয়া, অপরিণত বয়সে বিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ এসবকে দায়ী করেছেন বিচ্ছেদ রোধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ঢাকা পোস্টের কথা হয় আইনজীবী ইউসুফ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ দিন দিন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ, ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল, পরকীয়া, অপরিণত বয়সে বিয়ে, পারিবারিক বন্ধনে দূরত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়াও বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে আমরা দেখি পরিবারের মাঝে একেবারে ছোট্ট কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা পরে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এসব দিনদিন বেড়েই চলছে। আমরা আদালতে এমন কোনো ঘটনা আগে দেখিনি, যা এখন এতটা বেশি হয়েছে। বিচ্ছেদ কমানোর জন্য কাউন্সেলিং প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায় সমাজে বিচ্ছেদ ভয়াবহ রূপ নেবে।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর জামালপুর কার্যালয়ের অতিরিক্ত (দায়িত্বপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক কামরুন্নাহার বলেন, আগে নারীরা স্বামীর নির্যাতন মেনে নিতেন। তখন তারা মুখ খুলে কোনো কথা বলতেন না। এখন নারীরা নির্যাতন হলেই তার প্রতিকার চান। এখন নির্যাতনের শিকার হলেই নারীরা তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। আমরা নারীদের সবসময় সহযোগিতা করি। নারীরা এলে কাউন্সিলিং করি এবং তাদের সহযোগিতা করি।