ঢাকার কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এরইমধ্যে শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শিমুর স্বামী নোবেল প্রাথমিকভাবে এই হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে।
৪১ বছর বয়সী এই নায়িকাকে নিয়ে মুত্যুর পর থেকেই বেশ চর্চা হচ্ছে সিনেমা পাড়ায়। জানা যায়, ভালো সম্ভাবনা নিয়েই রূপালি পর্দায় পা রেখেছিলেন তিনি। আর তাইতো মাত্র ৬ বছরের ক্যারিয়ারে ২৩ সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন শিমু। যেগুলোর পরিচালনায় ছিলেন দেশের অনেক গুণী নির্মাতা।
অকালে চলে যাওয়া এই নায়িকা চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘জামাই শ্বশুর’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আবদুল্লাহ জহির বাবুর গল্পে শাহাদাৎ খান পরিচালিত একই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, খল-অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাসহ অনেকে। এতে পূর্ণিমার বোনের চরিত্রে দেখা যায় শিমুকে।
সেই সিনেমায় কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন শিমু, ফেসবুকে সে ঘটনা তুলে ধরেছেন কাহিনীকার আবদুল্লাহ জহির বাবু।
তিনি লেখেন, ‘ছায়াছবির জন্য একজন শিল্পী প্রয়োজন, যিনি পূর্ণিমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তখনই হঠাৎ আমার রাইমা ইসলাম শিমুর কথা মনে পড়ে। পরিচয় হয়েছিল স্বপন চৌধুরী স্যারের অফিসে। তার কথা মনে ছিল শুধুমাত্র, ওর মন খোলা হাসি আর অসাধারণ ব্যবহারের জন্য। আমার বাসার সামনে রামপুরা এলাকায় থাকত। ডাকলাম তাকে, প্রযোজক ফরহাদ ভাই আর পরিচালক শাহাদাত ভাই দেখে এক নজরে নির্বাচিত করলেন শিমুকে। ’
আবদুল্লাহ জহির বাবু লেখেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুরে আউটডোর শুটিংয়ে গেল ইউনিট, দুর্দান্ত কাজ করল শিমু। তারপর অনেক দিনের গ্যাপ। যোগাযোগ ছিল না। ২০১৭ সালে ‘বঙ্গ’তে নাটক সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিচালক বি ইউ শুভের সরবরাহ করা নাটকে দেখলাম পরিচালক হিসাবে শিমুর নাম। সাথে সাথে ফোন, উচ্ছ্বসিত হয়ে জানাল, সে এখন ভালো আছে। কাজ করছে এটিএন বাংলায়। নাটক প্রযোজনা করছে। স্বামী দুই সন্তান নিয়ে খুব সুখী। ’
বাবুর ভাষায়, ‘হায়রে সুখ…নিজের দুঃখটাকে সবসময় লুকিয়েছে মেয়েটা। শুধু একটু সুখের আশায়। আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা, শিমুর সমস্ত জাগতিক ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে, তার আত্মাকে শান্তি দিন। তাকে বেহেস্ত নসীব করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। ’